আজ রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক অটো চালকদের কারণে দূঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে

বন্দরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক

বন্দরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অবৈধ্য যান কিন্তু সারা বাংলাদেশে দেদারশে চলছে এই অবৈধ্য যান যার নাম অটো বাইক। সারা দেশে এর সংখ্যা কতো তা মনে হয় বাংলাদেশ সরকার এর কাছে ও এর হিসেব পাওয়া দুস্কর। যার জন্য কোন পারমিট বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি থেকে নিতে হয়না, সিটি কর্পোরেশন কিংবা ইউনিয়ন কাউন্সিল থেকে ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজন হয়না, ন্যশনাল বোর্ড অফ রেভিনিও থেকে ট্র্রাক্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হয়না। গাড়ীর ফিটনেস, ড্রাইভার এর লাইসেন্স, নিদিষ্ট বয়স কোন কিছুরই দরকার হয়না, শুধূ যার টাকা আছে যে কোন লোক অটো বাইক রাস্তায় নামিয়ে ব্যবসা করতে পারে ।

বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নীচে সবাই শিশু তাদের ১৮ বছরের আগে কর্মে নিয়োগ করার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে এই সহজ যানটির সাথে যুক্ত হয়েছে ১৪ থেকে ১৬ বয়সের অপ্র্প্তা বয়স্ক অশিক্ষিত অসংখ্য ছেলেরা অটো ডাইভিং এর সাথে যুক্ত। যাদের দেশের গাড়ীর চলাচলের জন্য রাস্তার প্রচলিত আইন-কানুন সর্ম্পকে বিন্দুমাত্র ধারনা নেই। এই অপ্র্প্তা বয়স্ক ড্রাইভাররা তাদের ইচ্ছেমতো কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে সারা রাস্তা দাবিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ আবার কানে হেড ফোন লাগিয়ে মিউজিকের তালে তালে ছুটে চলে, গাড়ী চলাচলের জন্য যে একটা নির্দিষ্ট স্পিড এর লিমিট করা আছে তার কোন ধারনা তাদের নেই, কে কার আগে ওভারটেক করে গন্তব্যে পেীছেবে তার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে, এর ফলে প্রতিনিয়ত দূঘটনা ঘটে চলছে অহরহ ।

সবচেয়ে আশংকাগ্রস্ত অবসথায় থাকে কোমলমতি স্কুলর বাচ্চারা । এই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ড্রাইভার এর মধ্যে অনেকে আবার বিভিন্ন নেশার সাথে যুক্ত, ফলে সাধারন যাত্রীরা সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এর ফলে অহরহ দূঘটনা ঘটছে এবং প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে নিরঅপরাধ মানুষগুলোর , অনেকে মৃত্যুবরন করছে অনেকে আবার সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরন করছে । অনেক অপ্রাপ্ত অটো বাইক চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, অল্পবয়স্ক হওয়ার কারণে তাদেরকে কারো কাছে কোন জবাবদিহি করতে হয়নি কিংবা এ ব্যপারে তাদেরকে কোন মালিকের পক্ষ থেকে কোনো বয়সের সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়নি এবং অপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের গাড়ী চালানো যাবেনা এ ব্যাপারে তাদেরকে কোন পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত প্রশ্নের সমুক্ষিন হতে হয়নি কিংবা এই অটো বাইক রাস্তা চালাতে শুধু কিছু নামধারী রাজনৈতিক নেতা, কিছু অসৎ পুলিশ প্রশাসনকে তাদের প্রতিদিন নিদিষ্ট হারে চাঁদা প্রদান করলেই চলে। অটো বাইকগুলোর নিদিষ্ট স্টান্ড না থাকার কারণে যত্রতত্র পথচারীর ফুটপাথে পাকিং করে রাখে ফলে জনসাধারনের চলাচলের অসুবিধা হয়।

এর সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে শ্রমজীবি মহিলা এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা। তাই অতি অতিদ্রুত এগুলোর নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আরো প্রাণহানি বদ্ধি পাবে। তাই জনসাধারনের প্রাণ বাঁচাতে ও তাদের নিরাপদ রাখতে দ্রুত এর সমাধান প্রয়োজন বলে জনসাধারন মনে করে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ